45th BCS Preliminary Science Questi...
৪৫তম বিসিএস সাধারণ বিজ্ঞানঃ ১. নিচের কোনটি চার্লসের সূত্র? ক) V ∝ T খ) PV = K গ) V ∝ n ঘ) P ∝ T উত্তর: ক) V ∝ T ব্যাখ্যা: · চার্লসের সূত্র অনুযায়ী নিয়মিত চাপের অধীনে কোনো গ্যাসের আয়তন (V) সরাসরি তাপমাত্রার (T) সাথে সমানুপাতিক। ১️. বয়েলের সূত্র (Boyle’s Law) সুত্র: বর্ণনা: · নিয়মিত তাপমাত্রায় (T constant) কোনো গ্যাসের চাপ (P) এবং আয়তন (V) বিপরীতভাবে সমানুপাতিক। · অর্থাৎ: Ø আয়তন বাড়লে → চাপ কমে Ø আয়তন কমলে → চাপ বাড়ে উদাহরণ: · পিস্টনের ভরে থাকা সিলিন্ডার। ২️. এভোগাড্রার সূত্র (Avogadro’s Law) সুত্র: বর্ণনা: · একই তাপমাত্রা ও চাপের অধীনে যে কোনো গ্যাসের আয়তন (V) সরাসরি গ্যাসের মোল সংখ্যা (n) এর সাথে সমানুপাতিক। · অর্থাৎ: Ø মোল সংখ্যা দ্বিগুণ → আয়তন দ্বিগুণ উদাহরণ: · একটি বেলুনে একই তাপমাত্রায় আরও বেশি গ্যাস ঢাললে → আয়তন বাড়ে। সারসংক্ষেপ সূত্র সম্পর্ক শর্ত উদাহরণ বয়েলের সূত্র P ∝ 1/V T = constant পিস্টনের সিলিন্ডার এভোগাড্রার সূত্র V ∝ n P, T = constant বেলুনে গ্যাসের সংখ্যা বৃদ্ধি ২. সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) কেলাসের গঠন কীরূপ? ক) পৃষ্ঠতল কেন্দ্রিক ঘনকাকৃতির খ) দেহ-কেন্দ্রিক ঘনকাকার গ) সংঘবদ্ধ-ঘনকাকার ঘ) সংঘবদ্ধ ষড়কৌণিক আকার উত্তর: ক) পৃষ্ঠতল কেন্দ্রিক ঘনকাকৃতির গুরুত্বপূর্ণ যৌগের কেলাস (স্ফটিক) গঠনসমূহ ক্র. যৌগের নাম রাসায়নিক সংকেত কেলাসের ধরন / গঠন সংক্ষিপ্ত বিবরণ ১ সোডিয়াম ক্লোরাইড NaCl পৃষ্ঠতল-কেন্দ্রিক ঘনক (Face-centered cubic / FCC) প্রতিটি Na⁺ আয়ন ৬টি Cl⁻ আয়ন দ্বারা পরিবেষ্টিত এবং বিপরীতক্রমে। ২ সিজিয়াম ক্লোরাইড CsCl দেহ-কেন্দ্রিক ঘনক (Body-centered cubic / BCC) প্রতিটি Cs⁺ আয়ন ৮টি Cl⁻ আয়ন দ্বারা পরিবেষ্টিত। ৩ জিঙ্ক ব্লেন্ড / স্প্যালেরাইট ZnS (Zinc Blende form) পৃষ্ঠতল-কেন্দ্রিক ঘনক (FCC) Zn²⁺ আয়ন চারটি S²⁻ আয়ন দ্বারা পরিবেষ্টিত (টেট্রাহেড্রাল বিন্যাস)। ৪ ডায়মন্ড (হীরা) C (Diamond form) টেট্রাহেড্রাল কেলাস প্রতিটি কার্বন চারটি কার্বনের সাথে σ-বন্ধনে যুক্ত → শক্ততম পদার্থ। ৫ গ্রাফাইট C (Graphite form) স্তরবিন্যস্ত ষড়ভুজাকার (Layered hexagonal) কার্বন পরমাণু ষড়ভুজ আকারে স্তরে স্তরে সাজানো → বিদ্যুৎ পরিবাহী। ৬ আইস (বরফ) H₂O (solid) হাইড্রোজেন-বন্ডযুক্ত ষড়ভুজাকার জালিকা হাইড্রোজেন বন্ধনের কারণে হালকা গঠন। ৭ কপার (তামা) Cu পৃষ্ঠতল-কেন্দ্রিক ঘনক (FCC) ধাতব কেলাস, ভালো পরিবাহী। ৮ আয়রন (লোহা) Fe (α-form) দেহ-কেন্দ্রিক ঘনক (BCC) ধাতব কঠিন কাঠামো, স্টিল তৈরিতে ব্যবহৃত। ৯ ম্যাগনেসিয়াম (Mg) Mg ষড়ভুজাকার ঘন বিন্যাস (Hexagonal close packing, HCP) ধাতব কেলাস, হালকা ও শক্তিশালী ধাতু। ১০ ক্যালসিয়াম ফ্লোরাইড (Fluorspar) CaF₂ ঘনকাকৃতি (Cubic / Fluorite structure) Ca²⁺ আয়ন ৮টি F⁻ দ্বারা পরিবেষ্টিত। ৩. নিচের কোনটি প্রাইমারি দূষক? ক) SO3 খ) N2O5 গ) NO ঘ) HNO3 উত্তর: গ) NO ১. প্রাইমারি দূষক (Primary Pollutants) সংজ্ঞা: যে সব দূষক সরাসরি কোনো উৎস থেকে বায়ুমণ্ডলে নির্গত হয়, সেগুলোকে প্রাইমারি দূষক বলে। উদাহরণ: দূষক উৎস মন্তব্য CO (Carbon monoxide) অসম্পূর্ণ দহন খুব বিষাক্ত গ্যাস CO₂ (Carbon dioxide) দহন প্রক্রিয়া, শ্বাসপ্রশ্বাস গ্রীনহাউস গ্যাস SO₂ (Sulphur dioxide) কয়লা ও তেল পোড়ানো বায়ুতে অ্যাসিড বৃষ্টি ঘটায় NO (Nitric oxide) যানবাহন, কারখানা প্রশ্নে দেওয়া উত্তর — প্রাইমারি দূষক Hydrocarbons (HC) যানবাহনের ধোঁয়া ধোঁয়া ও কুয়াশার মিশ্রণ সৃষ্টি করে Particulates (ধূলিকণা, ধোঁয়া) শিল্প এলাকা শ্বাসকষ্ট ও ফুসফুস ক্ষতি করে উদাহরণ প্রশ্নে: “NO (Nitric oxide)” সরাসরি ইঞ্জিন বা কারখানা থেকে নির্গত হয়, তাই এটি প্রাইমারি দূষক ২. সেকেন্ডারি দূষক (Secondary Pollutants) সংজ্ঞা: যে সব দূষক বায়ুমণ্ডলে প্রাইমারি দূষকের রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে তৈরি হয়, সেগুলোকে সেকেন্ডারি দূষক বলে। উদাহরণ: সেকেন্ডারি দূষক তৈরির প্রক্রিয়া মন্তব্য O₃ (Ozone) NO₂ ও O₂ এর বিক্রিয়ায় সূর্যালোকের প্রভাবে ফটো-কেমিক্যাল স্মগের প্রধান উপাদান HNO₃ (Nitric acid) NO₂ + H₂O → HNO₃ অ্যাসিড বৃষ্টি ঘটায় H₂SO₄ (Sulphuric acid) SO₂ + O₂ + H₂O → H₂SO₄ অ্যাসিড বৃষ্টি PAN (Peroxyacetyl nitrate) Hydrocarbon + NO₂ (সূর্যালোক) চোখে জ্বালা সৃষ্টি করে Smog (ধোঁয়া-কুয়াশা মিশ্রণ) বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় শ্বাসযন্ত্রে প্রভাব ফেলে সুতরাং: প্রশ্নে গ) NO — প্রাইমারি দূষক আর যেমন HNO₃, SO₃, PAN, O₃ — সেকেন্ডারি দূষক ৪. HPLC এর পূর্ণরূপ কী? ক) High pressure liquid chromatography খ) High power liquid chromatography গ) High plant liquid chromatography ঘ) High performance liquid chromatography উত্তর: ঘ) High performance liquid chromatography Chromatography অনেক প্রকার হলেও মূলত নিচের প্রধান ৫টি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। ধরণ বর্ণনা উদাহরণ / ব্যবহার 1️. Paper Chromatography (পেপার ক্রোমাটোগ্রাফি) এখানে Stationary phase হলো কাগজ, আর Mobile phase হলো দ্রাবক (solvent)। রং বা রঞ্জক পদার্থ আলাদা করা, উদ্ভিদের রঞ্জক (chlorophyll, carotene) বিশ্লেষণ। 2️. Thin Layer Chromatography (TLC) Stationary phase হলো সিলিকা জেল বা অ্যালুমিনা প্রলেপযুক্ত কাঁচ/প্লেট। ওষুধ, হরমোন, অ্যামাইনো অ্যাসিড শনাক্তকরণ। 3️. Column Chromatography কাচের কলামে স্থির পদার্থ (silica/alumina) থাকে, তার মধ্য দিয়ে দ্রবণ প্রবাহিত হয়। জৈব যৌগ, প্রোটিন, রঞ্জক পদার্থ আলাদা করা। 4️. Gas Chromatography (GC) Mobile phase হলো গ্যাস (সাধারণত হিলিয়াম বা নাইট্রোজেন)। উদ্বায়ী যৌগ (volatile compounds) বিশ্লেষণ, অপরাধ তদন্ত, পরিবেশ বিশ্লেষণ। 5️. High Performance Liquid Chromatography (HPLC) অত্যন্ত সূক্ষ্ম তরল ক্রোমাটোগ্রাফি, উচ্চ চাপ প্রয়োগ করে দ্রুত বিভাজন করা হয়। ওষুধ, প্রোটিন, অ্যামাইনো অ্যাসিড, খাবারের উপাদান বিশ্লেষণ। ল্যাবরেটরিতে ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ Chromatography পরীক্ষায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি বা উপকরণগুলো হলোঃ উপকরণ / যন্ত্র ব্যবহার Chromatography paper / TLC plate / Column tube Stationary phase হিসেবে ব্যবহৃত হয় Solvent / Mobile phase মিশ্রণ বহন করার মাধ্যম Capillary tube / syringe নমুনা (sample) স্থাপন করতে Developing chamber পেপার বা TLC ডেভেলপ করার জন্য UV lamp / Iodine chamber স্পট দৃশ্যমান করতে HPLC machine / Gas Chromatograph উন্নত স্বয়ংক্রিয় বিশ্লেষণের জন্য Detector (UV, fluorescence, mass detector) উপাদান শনাক্ত করতে Recorder / Computer system তথ্য রেকর্ড ও বিশ্লেষণের জন্য ৫. নিচের কোনটি সিরামিক উপাদানের প্রধান কাঁচামাল? ক) SiO2 খ) Na2CO3 গ) Fe2O3 ঘ) NaNO3 উত্তর: ক) SiO2 ১️. সিরামিক কি? · সিরামিক হলো অজৈব, অতি কঠিন, তাপ ও রাসায়নিকভাবে স্থিতিশীল পদার্থ, যা সাধারণত মাটি, সাদা মাটি, রেক্লেম বা চুন, কাঁচি ইত্যাদি থেকে প্রস্তুত করা হয়। · সিরামিকের উদাহরণ: ইট, টাইল, সিমেন্ট, কাচ, টেরাকোটা, ফায়ারব্রিক্স, সিরামিক বাটি/পাত্র। ২️. সিরামিক উপাদানের প্রধান কাঁচামাল: কাঁচামাল রাসায়নিক সূত্র ভূমিকা SiO₂ (Silica / বালি) SiO₂ সিরামিকের মূল গঠন উপাদান, শক্তি ও কঠিনতা যোগ করে Al₂O₃ (Alumina / অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড) Al₂O₃ তাপ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় Fe₂O₃ (Iron Oxide) Fe₂O₃ রঙ ও সুরক্ষা যোগ করে CaCO₃ (Calcium Carbonate / চুনাপাথর) CaCO₃ সিরামিককে গঠন এবং শক্তিশালী করতে ব্যবহৃত হয় Na₂CO₃ (Soda / সোডা অ্যাশ) Na₂CO₃ গ্লেজ বা কাঁচ তৈরিতে ব্যবহার হয় NaNO₃ NaNO₃ সিরামিকে ব্যবহার হয় না (প্রধানত রাসায়নিক সার) ৩️. কেন SiO₂ প্রধান কাঁচামাল? 1. ঘন ও কঠিন কাঠামো: সিরামিককে টেকসই ও শক্তিশালী করে। 2. তাপ ও রাসায়নিক স্থায়িত্ব: উচ্চ তাপ ও রাসায়নিক প্রতিক্রিয়ায় সহজে ক্ষয় হয় না। 3. প্রস্তুতিতে সহজ প্রাপ্তি: নদী বা সাগরের বালি থেকে সহজে সংগ্রহ করা যায়।। ৪️. উচ্চ মাধ্যমিক রসায়নের দৃষ্টিকোণ থেকে: · SiO₂ মূলত একটি অমোর্ফাস বা ক্রিস্টালাইন অক্সাইড। · সিরামিক প্রস্তুতিতে SiO₂ অন্যান্য অক্সাইড (Al₂O₃, Fe₂O₃, CaO)–এর সঙ্গে মিশিয়ে উচ্চ তাপমাত্রায় ভাটা বা ফায়ারিং করা হয়। · ফলস্বরূপ কঠিন, দানা যুক্ত ও টেকসই সিরামিক তৈরি হয়।। সারসংক্ষেপ: · সিরামিক উপাদানের প্রধান কাঁচামাল = SiO₂ · অন্যান্য উপাদান: Al₂O₃, Fe₂O₃, CaCO₃, Na₂CO₃ · NaNO₃ সিরামিক প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হয় না। ৬. সানস্ক্রিন লোশন তৈরিতে কোন ন্যানো পার্টিকেল ব্যবহৃত হয়? ক) Na2O খ) ZnO গ) Al2O3 ঘ) CuO উত্তর: খ) ZnO ১️. সানস্ক্রিন লোশন কী? · সানস্ক্রিন লোশন হলো ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর আলট্রাভায়োলেট (UV) রশ্মি থেকে রক্ষা করার জন্য প্রস্তুত করা একটি লোশন বা ক্রিম। · মূল কাজ: 1. UV-A রশ্মি (320–400 nm) প্রতিফলন করা 2. UV-B রশ্মি (290–320 nm) শোষণ করে ত্বকের বার্ন প্রতিরোধ করা ২️. কেন ZnO ব্যবহৃত হয়? · ZnO হল একটি nontoxic, chemically stable, UV blocking agent। · ন্যানো আকারে (20–100 nm) ব্যবহারের কারণে: 1. ত্বকে সাদা দাগ তৈরি করে না 2. UV-A ও UV-B উভয় রশ্মি প্রতিফলন ও শোষণ করতে সক্ষম 3. ত্বকে সহজে ছড়িয়ে পড়ে, হালকা ও স্বচ্ছ লোশন তৈরি হয় ৩️. সানস্ক্রিনে অন্যান্য সাধারণ উপাদান: উপাদান রাসায়নিক সূত্র ভূমিকা টাইটানিয়াম ডাইঅক্সাইড (TiO₂) TiO₂ UV প্রতিরোধক, প্রায় স্বচ্ছ ন্যানো পার্টিকেল জিঙ্ক অক্সাইড (ZnO) ZnO UV-A ও UV-B প্রতিরোধক, ত্বক সংরক্ষণ অক্সিবেনজন (Oxybenzone) C14H12O3 UV-B শোষক (রাসায়নিক sunscreen) অভেন্সোলোন (Avobenzone) C20H22O3 UV-A শোষক (রাসায়নিক sunscreen) সালিসাইলেট ও প্যারাসলিসাইলেট - UV-B প্রতিরোধক লক্ষ্য করুন: ZnO ও TiO₂ হল ফিজিক্যাল/মিনারেল সানস্ক্রিন, যেখানে UV রশ্মি প্রতিফলিত বা ছড়িয়ে যায়। অক্সিবেনজন, অভেন্সোলোন হল কেমিক্যাল সানস্ক্রিন, যা UV শোষণ করে ত্বককে রক্ষা করে। ৭. মানুষের দেহকোষে ক্রোমোজমের সংখ্যা – ক) ৪৪ টি খ) ৪২ টি গ) ৪৬ টি ঘ) ৪৮ টি উত্তর: গ) ৪৬ টি ১️। ক্রোমোজম কী? · ক্রোমোজম হলো ডিএনএ ও প্রোটিনের সংমিশ্রণ যা কোষের নকশা ও বংশগত তথ্য ধারণ করে। · প্রতিটি ক্রোমোজমে হাজার হাজার জিন (Gene) থাকে। · মানুষের প্রতি কোষে ২৩ জোড়া ক্রোমোজম থাকে, অর্থাৎ মোট ৪৬টি ক্রোমোজম। ২️। মানুষের ক্রোমোজমের ধরন: শ্রেণি ক্রোমোজমের সংখ্যা ব্যাখ্যা অটোসোম (Autosomes) ৪৪ ২২ জোড়া, দেহের গঠন ও বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে যৌন ক্রোমোজম (Sex Chromosomes) ২ X এবং Y; লিঙ্গ নির্ধারণ করে মোট ক্রোমোজম ৪৬ ৪৪ + ২ = ৪৬ ৩️। যৌন ক্রোমোজম অনুযায়ী লিঙ্গ: লিঙ্গ ক্রোমোজম সংমিশ্রণ পুরুষ XY মহিলা XX ৪️। কোষের ধরণের ভিত্তিতে ক্রোমোজম সংখ্যা: কোষের ধরন ক্রোমোজম সংখ্যা মন্তব্য দেহকোষ (Somatic Cell) ৪৬ (২৩ জোড়া) দেহের সব কোষে থাকে গামেট বা শুক্রাণু ও ডিম্বাণু (Gametes) ২৩ (একক সংখ্যা, Haploid) প্রজননের সময় মিলিত হয়ে ৪৬ হয় অর্থাৎ, গামেটের ২৩ ক্রোমোজম মিলিত হয়ে zygote তৈরি করলে ৪৬ ক্রোমোজম থাকে। ৫️। সংক্ষেপে: Ø মানুষ দেহকোষে ৪৬ ক্রোমোজম বহন করে। Ø এর মধ্যে ২২ জোড়া অটোসোম, ১ জোড়া যৌন ক্রোমোজম। Ø ক্রোমোজম হলো বংশগত তথ্যের বাহক। Ø যৌন কোষের মাধ্যমে বংশধর সৃষ্টি হয়। ৮. সুষম খাদ্যে শর্করা, আমিষ ও চর্বিজাতীয় খাদ্যের অনুপাত? ক) ৪ : ১ : ১ খ) ৪ : ২ : ২ গ) ৪ : ২ : ৩ ঘ) ৪ : ৩ : ২ উত্তর: ক) ৪ : ১ : ১ সুষম খাদ্য হলো এমন খাদ্য যা শরীরের বৃদ্ধি, শক্তি, রোগপ্রতিরোধ ও সুস্থতা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের পুষ্টি উপাদান নির্দিষ্ট পরিমাণে ধারণ করে। অর্থাৎ— শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী শর্করা (Carbohydrate), আমিষ (Protein), চর্বি (Fat), ভিটামিন (Vitamin), খনিজ লবণ (Mineral) এবং পানি (Water)–এর সঠিক পরিমাণে উপস্থিতিই সুষম খাদ্য। ২. সুষম খাদ্যের প্রধান উপাদানসমূহ: উপাদান কাজ / ভূমিকা খাদ্য উৎস শর্করা (Carbohydrate) শক্তি সরবরাহ করে ভাত, রুটি, আলু, চিনি আমিষ (Protein) দেহের বৃদ্ধি ও কোষ গঠন ডিম, মাছ, মাংস, ডাল, দুধ চর্বি (Fat) শক্তির উৎস ও দেহ উষ্ণ রাখে তেল, ঘি, বাদাম ভিটামিন রোগ প্রতিরোধ ও শরীরের ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ ফল, সবজি, দুধ খনিজ লবণ (Mineral) হাড় ও দাঁত মজবুত রাখে দুধ, ডিম, সবজি পানি দেহের রাসায়নিক বিক্রিয়া ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ বিশুদ্ধ পানি, ফলের রস ৩. সুষম খাদ্যের অনুপাত (Balance Ratio): সাধারণভাবে মানুষের দৈনন্দিন খাদ্যে — শর্করা : আমিষ : চর্বি = ৪ : ১ : ১ অর্থাৎ, · মোট শক্তির প্রায় ৬৫–৭০% আসে শর্করা থেকে · ১৫–২০% আসে আমিষ থেকে · ১৫–২০% আসে চর্বি থেকে ৪. সুষম খাদ্যের বৈশিষ্ট্য: Ø এতে সব ধরনের পুষ্টি উপাদান থাকে। Ø দেহের প্রয়োজন অনুযায়ী ক্যালোরি সরবরাহ করে। Ø দেহের কোষ মেরামত, বৃদ্ধি ও শক্তি জোগায়। Ø রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। Ø শরীরের ওজন ও স্বাস্থ্য ঠিক রাখে। ৫. বয়সভেদে সুষম খাদ্যের প্রয়োজন: Ø শিশুদের জন্য: বেশি আমিষ দরকার (বৃদ্ধির জন্য) Ø শ্রমজীবী মানুষের জন্য: বেশি শর্করা দরকার (শক্তির জন্য) Ø বৃদ্ধদের জন্য: কম চর্বি ও হালকা খাবার দরকার ৯. মানুষের শরীরের রক্তের গ্রুপ কয়টি? ক) চারটি খ) পাঁচটি গ) তিনটি ঘ) দুইটি উত্তর: ক) চারটি রক্তের গ্রুপঃ রক্তের গ্রুপ নির্ধারিত হয় রক্তকণিকার (RBC) উপর উপস্থিত বিশেষ প্রোটিন বা অ্যান্টিজেন (Antigen) দ্বারা। এই অ্যান্টিজেনের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতির ভিত্তিতে মানুষের রক্তকে বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। ২. ABO রক্ত শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি (Karl Landsteiner, 1901): এই পদ্ধতিতে চারটি প্রধান রক্তের গ্রুপ রয়েছে রক্তের গ্রুপ RBC-তে উপস্থিত অ্যান্টিজেন প্লাজমায় উপস্থিত অ্যান্টিবডি রক্ত দিতে পারে রক্ত নিতে পারে A A Anti-B A, AB A, O B B Anti-A B, AB B, O AB A ও B নেই AB A, B, AB, O (Universal Receiver) O নেই Anti-A ও Anti-B A, B, AB, O (Universal Donor) O ৩. Rh ফ্যাক্টর (Rhesus Factor): · এটি একটি অতিরিক্ত অ্যান্টিজেন (D antigen), যা রক্তে থাকতে বা না-থাকতে পারে। · এই ভিত্তিতে আবার রক্তের গ্রুপকে Positive (+) বা Negative (−) দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। যেমন: · A⁺, A⁻ · B⁺, B⁻ · AB⁺, AB⁻ · O⁺, O⁻ মোট রক্তের গ্রুপ = ৪ × ২ = ৮টি (A⁺, A⁻, B⁺, B⁻, AB⁺, AB⁻, O⁺, O⁻) ৪. রক্তের গ্রুপের গুরুত্ব: · রক্ত সঞ্চালন (Blood Transfusion)-এ দাতা ও গ্রহীতার রক্তের গ্রুপ মেলানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। · ভুল গ্রুপে রক্ত দিলে রক্ত জমাট (Clotting) ও মৃত্যুঝুঁকি হতে পারে। · মাতৃগর্ভে Rh অসঙ্গতি (Rh incompatibility) থাকলে শিশুর ক্ষতি হতে পারে। ৫. অতিরিক্ত তথ্য: · সবচেয়ে বেশি দেখা যায়: O⁺ রক্তগ্রুপ · সবচেয়ে বিরল রক্ত: AB⁻ · রক্তের গ্রুপ আবিষ্কার করেন: কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার (Karl Landsteiner, 1901) · Rh ফ্যাক্টর আবিষ্কার করেন: Landsteiner ও Wiener (1937) ১০. আর্সেনিকের পারমাণবিক সংখ্যা কত? ক) ৩৩ খ) ৩৮ গ) ৩৬ ঘ) ৪৪ উত্তর: ক) ৩৩ ১–৪০ পর্যন্ত মৌলের মৌলিক তথ্য ক্র. মৌলের নাম (বাংলা) ল্যাটিন নাম সংকেত পারমাণবিক সংখ্যা পারমাণবিক ভর (প্রায়) ১️ হাইড্রোজেন Hydrogenium H 1 1.008 ২️ হিলিয়াম Helium He 2 4.003 ৩️ লিথিয়াম Lithium Li 3 6.94 ৪️ বেরিলিয়াম Beryllium Be 4 9.012 ৫️ বোরন Borium B 5 10.81 ৬️ কার্বন Carbonium C 6 12.01 ৭️ নাইট্রোজেন Nitrogenium N 7 14.01 ৮️ অক্সিজেন Oxygenium O 8 16.00 ৯️ ফ্লোরিন Fluorum F 9 19.00 ১০ নিওন Neon Ne 10 20.18 ১১️ সোডিয়াম Natrium Na 11 22.99 ১২️ ম্যাগনেসিয়াম Magnesium Mg 12 24.31 ১৩️ অ্যালুমিনিয়াম Aluminium Al 13 26.98 ১৪️ সিলিকন Silicium Si 14 28.09 ১৫️ ফসফরাস Phosphorus P 15 30.97 ১৬️ সালফার (গন্ধক) Sulphur S 16 32.06 ১৭️ ক্লোরিন Chlorum Cl 17 35.45 ১৮️ আর্গন Argon Ar 18 39.95 ১৯️ পটাসিয়াম Kalium K 19 39.10 ২০️ ক্যালসিয়াম Calcium Ca 20 40.08 ২১️ স্ক্যান্ডিয়াম Scandium Sc 21 44.96 ২২️ টাইটানিয়াম Titanium Ti 22 47.87 ২৩️ ভ্যানাডিয়াম Vanadium V 23 50.94 ২৪️ ক্রোমিয়াম Chromium Cr 24 52.00 ২৫️ ম্যাঙ্গানিজ Manganum Mn 25 54.94 ২৬️ লোহা Ferrum Fe 26 55.85 ২৭️ কোবাল্ট Cobaltum Co 27 58.93 ২৮️ নিকেল Niccolum Ni 28 58.69 ২৯️ তামা Cuprum Cu 29 63.55 ৩০️ দস্তা Zincum Zn 30 65.38 ৩১️ গ্যালিয়াম Gallium Ga 31 69.72 ৩২️ জার্মেনিয়াম Germanium Ge 32 72.63 ৩৩️ আর্সেনিক Arsenicum As 33 74.92 ৩৪️ সেলেনিয়াম Selenium Se 34 78.97 ৩৫️ ব্রমিন Bromum Br 35 79.90 ৩৬️ ক্রিপটন Krypton Kr 36 83.80 ৩৭️ রুবিডিয়াম Rubidium Rb 37 85.47 ৩৮️ স্ট্রনটিয়াম Strontium Sr 38 87.62 ৩৯️ ইট্রিয়াম Yttrium Y 39 88.91 ৪০️ জিরকোনিয়াম Zirconium Zr 40 91.22 উদাহরণ: · আর্সেনিক (As)→ পারমাণবিক সংখ্যা ৩৩ · লোহা (Fe)→ ২৬ · তামা (Cu)→ ২৯ · দস্তা (Zn)→ ৩০ · ক্যালসিয়াম (Ca)→ ২০ ১১. উড়োজাহাজের গতি নির্ণায়ক যন্ত্রের নাম কী? ক) ট্যাকোমিটার খ) অ্যালটিমিটার গ) ওডোমিটার ঘ) অডিওমিটার উত্তর: ক) ট্যাকোমিটার নির্নায়ক যন্ত্রঃ বিভিন্ন নির্ণায়ক ও পরিমাপক যন্ত্রের নামসমূহ ক্র. যন্ত্রের নাম ইংরেজি নাম ব্যবহার / যে পরিমাপ নির্ণয় করে ১️ থার্মোমিটার Thermometer তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র ২️ ব্যারোমিটার Barometer বায়ুচাপ মাপার যন্ত্র ৩️ হাইগ্রোমিটার Hygrometer বায়ুর আর্দ্রতা মাপার যন্ত্র ৪️ রেইন গেজ Rain Gauge বৃষ্টিপাতের পরিমাণ মাপার যন্ত্র ৫️ অ্যানিমোমিটার Anemometer বাতাসের বেগ মাপার যন্ত্র ৬️ অ্যালটিমিটার Altimeter উচ্চতা (Altitude) পরিমাপের যন্ত্র ৭️ ট্যাকোমিটার Tachometer ঘূর্ণন বা গতি নির্ণায়ক যন্ত্র (যেমন উড়োজাহাজ, ইঞ্জিন) ৮️ ওডোমিটার Odometer যানবাহনে অতিক্রান্ত দূরত্ব মাপার যন্ত্র ৯️ অ্যামিটার Ammeter বিদ্যুৎ প্রবাহের মান মাপার যন্ত্র ১০ ভোল্টমিটার Voltmeter ভোল্টেজ মাপার যন্ত্র ১১️ গ্যালভানোমিটার Galvanometer ক্ষুদ্র বৈদ্যুতিক প্রবাহ শনাক্তক যন্ত্র ১২️ স্পিডোমিটার Speedometer যানবাহনের গতিবেগ মাপার যন্ত্র ১৩️ সিসমোগ্রাফ Seismograph ভূমিকম্পের কম্পন মাপার যন্ত্র ১৪️ কম্পাস Magnetic Compass দিক নির্ণায়ক যন্ত্র ১৫️ ক্রোনোমিটার Chronometer সঠিক সময় পরিমাপের যন্ত্র (জাহাজে ব্যবহৃত) ১৬️ অডিওমিটার Audiometer শ্রবণ ক্ষমতা নির্ণায়ক যন্ত্র ১৭️ স্পেকট্রোমিটার Spectrometer আলোর বর্ণালী বিশ্লেষণ করে ১৮️ ডেনসিটোমিটার Densitometer ঘনত্ব নির্ণায়ক যন্ত্র ১৯️ ডাইনামোমিটার Dynamometer বল বা শক্তি মাপার যন্ত্র ২০️ প্ল্যানিমিটার Planimeter কোনো ক্ষেত্রফল পরিমাপের যন্ত্র ২১️ মাল্টিমিটার Multimeter ভোল্ট, অ্যাম্পিয়ার, রেজিস্ট্যান্স একসাথে মাপার যন্ত্র ২২️ রেডিও টেলিস্কোপ Radio Telescope মহাকাশ থেকে রেডিও তরঙ্গ শনাক্ত করে ২৩️ থার্মোকাপল Thermocouple তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য বৈদ্যুতিক সেন্সর ২৪️ ফটোমিটার Photometer আলোর তীব্রতা পরিমাপ করে ২৫️ স্পাইরোমিটার Spirometer ফুসফুসের বায়ু ধারণ ক্ষমতা মাপে ২৬️ ম্যানোমিটার Manometer গ্যাস বা তরলের চাপ মাপে ২৭️ পাইরোমিটার Pyrometer অত্যন্ত উচ্চ তাপমাত্রা মাপে ২৮️ হাইড্রোমিটার Hydrometer তরলের ঘনত্ব নির্ণয় করে ২৯️ ল্যাকটোমিটার Lactometer দুধের বিশুদ্ধতা/ঘনত্ব নির্ণয় করে ৩০️ রিফ্র্যাক্টোমিটার Refractometer প্রতিসরণ সূচক মাপে ১২. টেলিভিশনে যে তরঙ্গ ব্যবহৃত হয় – ক) রেডিও ওয়েভ খ) অবলোহিত রশ্মি গ) আলট্রা ভায়োলেট ঘ) দৃশ্যমান রশ্মি উত্তর: ক) রেডিও ওয়েভ ক্রম রশ্মির নাম ইংরেজি নাম তরঙ্গদৈর্ঘ্য (আনুমানিক) বৈশিষ্ট্য / ব্যবহার ১️ রেডিও রশ্মি Radio Waves > 30 সেমি রেডিও, টিভি, মোবাইল যোগাযোগ ২️ মাইক্রোওয়েভ (ওয়েব) Microwaves 1 মিমি – 30 সেমি রান্নার ওভেন, স্যাটেলাইট যোগাযোগ ৩️ অবলোহিত রশ্মি Infrared (IR) 700 nm – 1 মিমি তাপ নির্গমন, রিমোট কন্ট্রোল, নাইট ভিশন ৪️ দৃশ্যমান রশ্মি Visible Light 400 – 700 nm চোখে দেখা যায় এমন আলো ৫️ অতিবেগুনি রশ্মি (আলট্রাভায়োলেট) Ultraviolet (UV) 10 – 400 nm জীবাণুনাশক, ত্বকে ভিটামিন D উৎপাদন, জাল টাকা শনাক্ত করা ৬️ এক্স-রে (X-rays) X-rays 0.01 – 10 nm চিকিৎসায় হাড়ের ছবি তোলা, ফাটল ৭️ গামা রশ্মি Gamma Rays < 0.01 nm ক্যান্সার চিকিৎসা, নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া ১৩. অণুজীব বিজ্ঞানের জনক কে? ক) রবার্ট কক্ খ) লুইস পাস্তুর গ) এডওয়ার্ড জেনার ঘ) এন্টনি ভন লিউয়েনহুক উত্তর: ঘ) এন্টনি ভন লিউয়েনহুক জীব বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ের জনক (Fathers of Different Branches of Biology): বিষয় / শাখা জনকের নাম অবদান / পরিচিতি জীববিজ্ঞানের জনক অ্যারিস্টটল (Aristotle) জীবজগতের শ্রেণিবিন্যাস ও প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ করেন অণুজীববিজ্ঞানের জনক এন্টনি ভন লিউয়েনহুক (Antony van Leeuwenhoek) প্রথম অণুবীক্ষণ যন্ত্রে অণুজীব (microorganism) দেখেন জীবাণুবিজ্ঞানের জনক লুই পাস্তুর (Louis Pasteur) জীবাণু দ্বারা রোগের ধারণা প্রমাণ ও ভ্যাকসিন উদ্ভাবন ব্যাকটেরিয়াবিজ্ঞানের জনক রবার্ট কক্ (Robert Koch) রোগসৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া শনাক্ত করেন রোগ প্রতিরোধ বিজ্ঞানের জনক (Immunology) এডওয়ার্ড জেনার (Edward Jenner) গুটিবসন্তের টিকা আবিষ্কার করেন কোষতত্ত্বের জনক (Cytology) রবার্ট হুক (Robert Hooke) প্রথম কোষ (cell) আবিষ্কার করেন উদ্ভিদবিদ্যার জনক (Botany) থিওফ্রাস্টাস (Theophrastus) উদ্ভিদের শ্রেণিবিন্যাসের ভিত্তি স্থাপন প্রাণীবিদ্যার জনক (Zoology) অ্যারিস্টটল (Aristotle) প্রাণীদের আচরণ ও গঠন নিয়ে গবেষণা করেন জেনেটিক্সের জনক (Genetics) গ্রেগর মেন্ডেল (Gregor Mendel) বংশগতির সূত্র উদ্ভাবন করেন বিবর্তন তত্ত্বের জনক (Evolution) চার্লস ডারউইন (Charles Darwin) প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে বিবর্তন তত্ত্ব দেন আধুনিক জীববিজ্ঞানের জনক লুই পাস্তুর (Louis Pasteur) আধুনিক জীববিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপন করেন পরিবেশ বিজ্ঞানের জনক (Ecology) আর্নেস্ট হ্যাকেল (Ernst Haeckel) Ecology শব্দটি প্রবর্তন করেন পরজীবীবিজ্ঞানের জনক (Parasitology) ফার্নান্দো দে ফিলিপো (Francesco Redi)** পরজীবী ও সংক্রমণ নিয়ে গবেষণা করেন অঙ্গতত্ত্বের জনক (Anatomy) আন্দ্রেয়াস ভেসালিয়াস (Andreas Vesalius) মানুষের শরীরের গঠন বিশ্লেষণ করেন উদ্ভিদ শারীরতত্ত্বের জনক (Plant Physiology) স্টিফেন হেলস (Stephen Hales) উদ্ভিদের জৈব ক্রিয়া নিয়ে গবেষণা করেন জীব রসায়নের জনক (Biochemistry) কার্ল নিউবার্গ (Carl Neuberg) কোষের রাসায়নিক বিক্রিয়া নিয়ে গবেষণা করেন জীব বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ের জনকঃ ১৪. বাতাস একটি – ক) ডায়াচুম্বকীয় পদার্থ খ) প্যারাচুম্বকীয় পদার্থ গ) ফেরোচুম্বকীয় পদার্থ ঘ) অ্যান্টিফেরোচুম্বকীয় পদার্থ উত্তর: খ) প্যারাচুম্বকীয় পদার্থ ১. চুম্বকত্বের ধরন (Types of Magnetism): পদার্থ সাধারণত চার ধরনের চৌম্বক ধর্ম প্রদর্শন করে— Ø ডায়াচুম্বকীয় (Diamagnetic): চুম্বকীয় ক্ষেত্রকে প্রতিরোধ করে। Ø প্যারাচুম্বকীয় (Paramagnetic): চুম্বকীয় ক্ষেত্রের দিকে আকর্ষিত হয়। Ø ফেরোচুম্বকীয় (Ferromagnetic): অত্যন্ত শক্তভাবে চুম্বকের প্রতি আকৃষ্ট হয়। Ø অ্যান্টিফেরোচুম্বকীয় (Antiferromagnetic): বিপরীত দিকের স্পিনগুলির ফলে চৌম্বক প্রভাব একে অপরকে বাতিল করে দেয়। ২. বাতাস কেন প্যারাচুম্বকীয়: বাতাস মূলত অক্সিজেন (O₂), নাইট্রোজেন (N₂), এবং কিছু অন্যান্য গ্যাস দিয়ে গঠিত। Ø অক্সিজেন (O₂) অণুর মধ্যে দুটি অযুগ্ম ইলেকট্রন (unpaired electrons) থাকে। Ø এই অযুগ্ম ইলেকট্রন থাকার কারণে অক্সিজেন চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের প্রতি আকৃষ্ট হয় — অর্থাৎ, এটি প্যারাচুম্বকীয়। যেহেতু বাতাসে প্রায় ২১% অক্সিজেন আছে, তাই বাতাসও সামান্য প্যারাচুম্বকীয় ধর্ম প্রদর্শন করে। ৩. উদাহরণ: Ø চৌম্বক ক্ষেত্রের কাছে বাতাস থাকলে তা সামান্য আকর্ষিত হয়। Ø তরল অক্সিজেনের উপর চুম্বক রাখলে সেটি দৃশ্যমানভাবে আকৃষ্ট হয়—এটি তার প্যারাচুম্বকীয় ধর্মের প্রমাণ। সারসংক্ষেপ: পদার্থের নাম ইলেকট্রনের অবস্থা চৌম্বক ধর্ম উদাহরণ ডায়াচুম্বকীয় সব যুগ্ম প্রতিরোধ করে বিসমাথ, তামা প্যারাচুম্বকীয় অযুগ্ম ইলেকট্রন সামান্য আকর্ষিত বাতাস, অক্সিজেন, অ্যালুমিনিয়াম ফেরোচুম্বকীয় অনেক অযুগ্ম ইলেকট্রন শক্তভাবে আকৃষ্ট লোহা, নিকেল, কোবাল্ট বাতাসে অক্সিজেনের উপস্থিতির কারণে এটি প্যারাচুম্বকীয় পদার্থ, অর্থাৎ চৌম্বক ক্ষেত্রের দিকে সামান্য আকৃষ্ট হয়। ১৫. বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সবচেয়ে বেশি গ্যাসটি হল – ক) অক্সিজেন খ) কার্বন-ডাইঅক্সাইড গ) নাইট্রোজেন ঘ) হাইড্রোজেন উত্তর: ঘ) হাইড্রোজেন বিশ্ব সৃষ্টির ইতিহাসঃ বিজ্ঞানীরা মনে করেন, প্রায় ১৩.৮ বিলিয়ন বছর আগে একটি মহাবিস্ফোরণ (Big Bang) থেকে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টি হয়। নিচে সংক্ষেপে ধাপগুলো দেওয়া হলো— Ø বিগ ব্যাং (Big Bang): মহাশূন্যে এক ক্ষুদ্র বিন্দুর মধ্যে সীমাহীন শক্তি ও ঘনত্ব ছিল। হঠাৎ বিস্ফোরণের মাধ্যমে সময়, স্থান ও পদার্থের সৃষ্টি হয়। Ø প্রাথমিক কণা ও গ্যাস গঠন: বিস্ফোরণের পর উচ্চ তাপমাত্রায় হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাস তৈরি হয়। এরা মহাবিশ্বে সবচেয়ে প্রাচীন উপাদান। সবচেয়ে বেশি গ্যাস: হাইড্রোজেন (Hydrogen) Ø গ্যালাক্সি ও নক্ষত্রের সৃষ্টি: কোটি কোটি বছর পর এসব গ্যাসের মেঘ মাধ্যাকর্ষণে একত্র হয়ে নক্ষত্র ও গ্যালাক্সি (আকাশগঙ্গা) গঠন করে। Ø সূর্য ও গ্রহমালা গঠন: প্রায় ৪.৬ বিলিয়ন বছর আগে, একটি নীহারিকার মেঘ থেকে সূর্য ও সৌরজগৎ (Solar System) সৃষ্টি হয়। Ø পৃথিবীর সৃষ্টি ও জীবন: পৃথিবীর গঠন ঘটে প্রায় ৪.৫ বিলিয়ন বছর আগে, পরে জল, বায়ু, জীব ও উদ্ভিদের উদ্ভব ঘটে — যা আজকের বৈচিত্র্যময় জীবন সৃষ্টি করেছে। ৪৫তম বিসিএস (কীর্তনখোলাসেট) ১. মায়োপিয়া (Myopia) কী? ক. এক প্রকার হাতের রোগ খ. এক প্রকার হৃদরোগ গ. এক প্রকার হাড়ের রোগ ঘ. এক প্রকার চোখের রোগ উত্তর: ঘ চোখের সাধারণ রোগসমূহ রোগের নাম লক্ষণ কারণ চিকিৎসা ১. মায়োপিয়া (Myopia / কাছের দেখা ঠিক, দূর দেখা ঝাপসা) দূরের জিনিস ঝাপসা দেখা চোখের বল লম্বা হয়ে যাওয়া বা কর্নিয়ার বেশি বাঁকা হওয়া Concave (Minus) লেন্স, LASIK সার্জারি ২. হাইপারমেট্রোপিয়া (Hypermetropia / দূরের দেখা ঠিক, কাছে ঝাপসা) কাছের জিনিস ঝাপসা দেখা, চোখে চাপ চোখের বল ছোট বা কর্নিয়া কম বাঁকা Convex (Plus) লেন্স, LASIK সার্জারি ৩. অ্যাস্টিগমাটিজম (Astigmatism) লেখা বিকৃত দেখা, চোখে ব্যথা কর্নিয়ার অস্বাভাবিক বাঁক Cylindrical লেন্স ৪. প্রেসবায়োপিয়া (Presbyopia / বয়সজনিত দৃষ্টি সমস্যা) ৪০+ বয়সে কাছে দেখা ঝাপসা লেন্সের স্থিতিস্থাপকতা কমে যাওয়া Bifocal বা Progressive লেন্স ৫. ছানি (Cataract) দৃষ্টি ঝাপসা, রাতে আলো ঝলকানি বয়সজনিত, ডায়াবেটিস, UV রশ্মি ছানি অপারেশন ও কৃত্রিম লেন্স (IOL) প্রতিস্থাপন ৬. গ্লুকোমা (Glaucoma / চোখের চাপ বৃদ্ধি) ধীরে ধীরে দৃষ্টি হারানো, মাথাব্যথা চোখের ভিতরের চাপ বেড়ে যাওয়া ওষুধ (Eye drops), লেজার, সার্জারি ৭. কনজাংকটিভাইটিস (Conjunctivitis / চোখ লাল হওয়া) চোখ লাল, পানি পড়া, চুলকানি ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা অ্যালার্জি অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ, পরিষ্কার রাখা ৮. ড্রাই আই সিনড্রোম (Dry Eye) চোখে জ্বালা, শুষ্কতা কম টিয়ার প্রোডাকশন, স্ক্রিন টাইম বেশি Artificial tear drops, বিশ্রাম ৯. রেটিনার রোগ (Retinal Disease) দৃষ্টি ঝাপসা, কালো দাগ দেখা ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ লেজার ট্রিটমেন্ট, ইনজেকশন, সার্জারি ১০. কর্নিয়া ইনফেকশন (Keratitis) ব্যথা, পানি পড়া, ঝাপসা দেখা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ছত্রাক অ্যান্টিবায়োটিক/অ্যান্টিভাইরাল ড্রপ চোখের লেন্সের ধরন লেন্সের ধরন ব্যবহার উদাহরণ Concave (-) মায়োপিয়া (দূর দেখা ঝাপসা) -1.5D, -2.0D Convex (+) হাইপারমেট্রোপিয়া (কাছ দেখা ঝাপসা) +1.0D, +2.5D Cylindrical অ্যাস্টিগমাটিজম ±1.25 Cyl Bifocal / Progressive প্রেসবায়োপিয়া Reading + Distance একসাথে Photochromic / Transition সূর্যের আলোতে কালো হয় UV Protection সহ Blue Light Filter Lens স্ক্রিন ব্যবহারকারীদের চোখ সুরক্ষা কম্পিউটার ও মোবাইল ব্যবহারকারীর জন্য Contact Lens (Soft / Hard) চশমার বিকল্প দৃষ্টি সংশোধন বা কসমেটিক উদ্দেশ্যে Intraocular Lens (IOL) ছানি অপারেশনের পর ব্যবহৃত Monofocal / Multifocal ২. কোনটি রাসায়নিক পরিবর্তনের উদাহরণ? ক. সোডিয়াম ক্লোরাইডের কেলাসায়ন (Crystallization) খ. বরফ গলন গ. পানির বাষ্পায়ন ঘ. দুধ টকানো (Souring) উত্তর: ঘ ব্যাখ্যা: ভৌত পরিবর্তন (Physical Change): যে পরিবর্তনে পদার্থের গঠন অপরিবর্তিত থাকে, কেবল অবস্থা বা আকার পরিবর্তন হয়, সেটি ভৌত পরিবর্তন। উদাহরণ: বরফ → পানি (গলন) পানি → বাষ্প (বাষ্পায়ন) লবণের স্ফটিকীকরণ (Crystallization) এসব পরিবর্তনে পদার্থের রাসায়নিক সংগঠন অপরিবর্তিত থাকে — যেমন H₂O থাকেই H₂O। রাসায়নিক পরিবর্তন (Chemical Change): যে পরিবর্তনে নতুন পদার্থ তৈরি হয়, অর্থাৎ পদার্থের রাসায়নিক গঠন পরিবর্তিত হয়, সেটি রাসায়নিক পরিবর্তন। উদাহরণ: দুধ টকানো লোহা মরিচা ধরা কাগজ পুড়ানো খাবার হজম দুধ টকানো হলে দুধের ল্যাকটোজ (Lactose) ব্যাকটেরিয়ার ক্রিয়ায় ল্যাকটিক এসিডে (Lactic acid) রূপান্তরিত হয় — অর্থাৎ নতুন পদার্থ তৈরি হয়, তাই এটি রাসায়নিক পরিবর্তন। ৩. নিচের তত্ত্বগুলো বিবেচনা করুন? i. আলোর প্রতিফলন ii. আলোর বিচ্ছুরণ ক. শুধু i খ. শুধু ii গ. i ও ii ঘ. i ও ii কোনোটিই নয় উত্তর: ঘ i. আলোর প্রতিফলন (Reflection of Light) সংজ্ঞা: যখন আলো কোনো প্রতিবিম্বিত পৃষ্ঠে (যেমন আয়না) পড়ে এবং ফিরে আসে, তাকে আলোর প্রতিফলন বলে। উদাহরণ: · সমতল আয়নায় নিজের মুখ দেখা। · পানির উপর আলো পড়ে ঝলমল করা। · গাড়ির হেডলাইটের আলো রাস্তার পাশে ফেরত আসা। প্রতিফলনের দুইটি সূত্র (Laws of Reflection): 1. আপতন কোণ (∠i) ও প্রতিফলন কোণ (∠r) সমান হয়। ∠i = ∠r 2. আপতিত রশ্মি, প্রতিফলিত রশ্মি ও লম্ব (normal) একই সমতলে অবস্থিত। প্রকারভেদ: প্রকার বর্ণনা উদাহরণ ১. নিয়মিত প্রতিফলন (Regular Reflection) মসৃণ পৃষ্ঠে আলো প্রতিফলিত হয়, সব রশ্মির কোণ সমান। আয়না, কাচ ২. অনিয়মিত প্রতিফলন (Irregular / Diffused Reflection) খসখসে পৃষ্ঠে আলো ছড়িয়ে যায়। দেয়াল, কাগজ ii. আলোর বিচ্ছুরণ (Dispersion of Light) সংজ্ঞা: যখন সাদা আলো কোনো প্রিজমের মধ্য দিয়ে যায় এবং সাতটি রঙে বিভক্ত হয়, তাকে আলোর বিচ্ছুরণ বলে। উদাহরণ: · প্রিজমের মাধ্যমে সূর্যের আলোকে পাস করালে সাত রঙের আলো দেখা যায়। · বৃষ্টির পর সূর্যের আলো বৃষ্টির পানির ফোঁটায় পড়ে রংধনু তৈরি করে। বিস্তারিত ব্যাখ্যা: সাদা আলো আসলে সাতটি রঙের মিশ্রণ – 🔴 লাল (Red), 🟠 কমলা (Orange), 🟡 হলুদ (Yellow), 🟢 সবুজ (Green), 🔵 নীল (Blue), 🟣 বেগুনি (Violet)। প্রিজমে আলো প্রবেশ করলে প্রতিটি রঙের গতি ও প্রতিসরণ কোণ আলাদা হয়, ফলে তারা আলাদা হয়ে ছড়িয়ে পড়ে — একে বলে Dispersion of Light। রঙগুলোর ক্রম (VIBGYOR): V – Violet I – Indigo B – Blue G – Green Y – Yellow O – Orange R – Red মূল পার্থক্য: বিষয় আলোর প্রতিফলন আলোর বিচ্ছুরণ অর্থ আলো কোনো পৃষ্ঠে পড়ে ফিরে আসে সাদা আলো সাত রঙে বিভক্ত হয় যন্ত্র আয়না প্রিজম রঙ পরিবর্তন হয়? না হয় উদাহরণ মুখ দেখা, আয়না রংধনু, প্রিজমে রঙ দেখা ৪. কোন মৌলটি DNA তে নেই? ক. নাইট্রোজেন খ. কার্বন গ. ফসফরাস ঘ. সোডিয়াম উত্তর: ঘ DNA (Deoxyribonucleic Acid) হলো জীবের জিনগত উপাদান, যা জীবের বংশগত বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে। DNA মূলত চারটি প্রধান মৌল দ্বারা গঠিত: কার্বন (C) হাইড্রোজেন (H) অক্সিজেন (O) নাইট্রোজেন (N) ফসফরাস (P) DNA-এর গঠন উপাদান: DNA গঠিত হয় নিউক্লিওটাইড দ্বারা। প্রতিটি নিউক্লিওটাইডে থাকে — একটি ফসফেট গ্রুপ (Phosphate group)→ এতে ফসফরাস (P) থাকে একটি ডিওক্সিরাইবোজ চিনি (Deoxyribose sugar)→ এতে কার্বন (C), হাইড্রোজেন (H), অক্সিজেন (O) থাকে একটি নাইট্রোজেনযুক্ত ক্ষারক (Nitrogen base)→ এতে নাইট্রোজেন (N) থাকে ৫. নিচের কোন রোগটির জন্য HI NI ভাইরাস দায়ী? ক. ডেঙ্গু খ. সোয়াইন ফ্লু গ. বার্ড ফু ঘ. এইডস উত্তর: খ বিভিন্ন ভাইরাসজনিত রোগ ও দায়ী ভাইরাসের তালিকা ক্র. রোগের নাম দায়ী ভাইরাস সংক্রমণের মাধ্যম / মন্তব্য ১ সোয়াইন ফ্লু (Swine Flu) H1N1 Influenza Virus শুকর থেকে বা মানুষে মানুষে সংক্রমণ ২ বার্ড ফ্লু (Bird Flu) H5N1 Influenza Virus পাখি থেকে মানুষে সংক্রমণ ৩ ডেঙ্গু (Dengue) Dengue Virus (Flavivirus) এডিস মশা (Aedes aegypti) দ্বারা ছড়ায় ৪ চিকুনগুনিয়া (Chikungunya) Chikungunya Virus এডিস মশা দ্বারা ছড়ায় ৫ জিকা ভাইরাস (Zika Virus Disease) Zika Virus মশা ও রক্তের মাধ্যমে ছড়ায় ৬ এইডস (AIDS) HIV (Human Immunodeficiency Virus) যৌন সম্পর্ক, রক্ত, মায়ের দুধ দ্বারা সংক্রমণ ৭ হেপাটাইটিস (Hepatitis A, B, C, D, E) Hepatitis Virus (A–E) দূষিত পানি, রক্ত ও শরীরের তরল দ্বারা ৮ হাম (Measles) Measles Virus (Morbillivirus) কাশি, হাঁচি দ্বারা বাতাসে ছড়ায় ৯ মাম্পস (Mumps) Mumps Virus (Paramyxovirus) লালার মাধ্যমে ১০ চিকেনপক্স (Varicella / জলবসন্ত) Varicella-Zoster Virus সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে ১১ রেবিস (Rabies) Rabies Virus (Lyssavirus) কুকুর বা অন্য প্রাণীর কামড়ে ১২ পোলিও (Poliomyelitis) Poliovirus দূষিত পানি বা খাদ্য ১৩ কোভিড-১৯ (COVID-19) SARS-CoV-2 (Coronavirus) বাতাসে ছড়ায় (Droplet infection) ১৪ স্মলপক্স (Smallpox) Variola Virus ভাইরাসজনিত গুরুতর ত্বক রোগ (এখন নির্মূল) ১৫ ইবোলা (Ebola) Ebola Virus শরীরের তরল দ্বারা সংক্রমণ বিশেষ নোট: · ভাইরাস হলো অজীব ও জীবের মধ্যবর্তী সত্তা, যা নিজে বাঁচতে পারে না — কোষের ভিতর প্রবেশ করেই বংশবৃদ্ধি করে। · ভাইরাসের গঠন মূলত DNA বা RNA এবং প্রোটিন কোট দ্বারা তৈরি। ৬. নিচের জোড়গুলো বিবেচনা করুন- ভিটামিন অভাবজনিত রোগ i. ভিটামিন D রিকেট (Ricket) ii. ভিটামিন E রাতকানা (Night blindness) ক. শুধু i খ. শুধু ii গ. i ও ii ঘ. i ও ii কোনোটিই নয় উত্তর: ক ভিটামিন ও অভাবজনিত রোগসমূহ (Vitamins and Deficiency Diseases) ক্র. ভিটামিনের নাম রাসায়নিক নাম প্রধান কাজ অভাবে সৃষ্ট রোগ খাদ্য উৎস ১ ভিটামিন A Retinol দৃষ্টি শক্তি বজায় রাখা, ত্বক ও কোষ রক্ষা রাতকানা (Night Blindness), ত্বক শুষ্ক হওয়া, কর্নিয়া ক্ষতি মাছের তেল, ডিমের কুসুম, দুধ, গাজর, লাল শাক ২ ভিটামিন B₁ Thiamine স্নায়ুতন্ত্র ও হৃদযন্ত্রের কার্যক্রমে সহায়তা বেরি-বেরি (Beri-beri) — স্নায়ু দুর্বলতা, হাঁটতে কষ্ট চালের ছাঁট, ডাল, গম, বাদাম ৩ ভিটামিন B₂ Riboflavin শক্তি উৎপাদন, ত্বক ও চোখ সুস্থ রাখা চোখ জ্বালা, ঠোঁটে ঘা, ত্বক খসখসে হওয়া দুধ, ডিম, সবুজ শাক, কলিজা ৪ ভিটামিন B₃ Niacin কোষে শক্তি উৎপাদন পেলাগ্রা (Pellagra) – ত্বক রোদে পোড়া, ডায়রিয়া, মানসিক সমস্যা মাংস, মাছ, ডাল, বাদাম ৫ ভিটামিন B₆ Pyridoxine প্রোটিন বিপাকে সহায়তা করে রক্তাল্পতা (Anemia), ত্বকে প্রদাহ কলা, মাছ, ডাল, মুরগির মাংস ৬ ভিটামিন B₉ Folic Acid রক্ত তৈরিতে সহায়তা করে রক্তাল্পতা, শিশুতে জন্মগত ত্রুটি পালং শাক, ব্রোকলি, কলিজা ৭ ভিটামিন B₁₂ Cobalamin রক্ত ও স্নায়ু সুস্থ রাখা মেগালোব্লাস্টিক অ্যানিমিয়া, ক্লান্তি মাংস, মাছ, ডিম, দুধ ৮ ভিটামিন C Ascorbic Acid রোগ প্রতিরোধ, ক্ষত সারানো, হাড় ও দাঁতের জন্য প্রয়োজনীয় স্কার্ভি (Scurvy) – দাঁত থেকে রক্ত পড়া, ক্ষত না সারা লেবু, কমলা, টমেটো, পেয়ারা ৯ ভিটামিন D Calciferol ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা, হাড় মজবুত করা রিকেটস (Rickets) – হাড় বাঁকা, দুর্বল সূর্যের আলো, মাছের তেল, ডিমের কুসুম ১০ ভিটামিন E Tocopherol কোষ সুরক্ষা, প্রজনন স্বাস্থ্য বন্ধ্যাত্ব, কোষ ক্ষতি, পেশি দুর্বলতা তেলযুক্ত বীজ, বাদাম, শাকসবজি ১১ ভিটামিন K Phylloquinone রক্ত জমাট বাঁধায় সাহায্য করে রক্তক্ষরণ (Hemorrhage) বাঁধাকপি, পালং শাক, কলিজা অতিরিক্ত তথ্য: · ভিটামিন দুই প্রকারের: 1. Fat-soluble vitamins (চর্বিতে দ্রবণীয়): A, D, E, K শরীরে জমা হতে পারে 2.Water-soluble vitamins (পানিতে দ্রবণীয়): B-Complex, C শরীরে জমে না, প্রতিদিন খাবারে নিতে হয় মনে রাখার সহজ উপায়: ভিটামিন মনে রাখার টিপস রোগ A “A for চোখ (Eyes)” রাতকানা B₁ “১ মানে শুরু → স্নায়ু” বেরি-বেরি C “C for Citrus (লেবু)” স্কার্ভি D “D for D-bone (হাড়)” রিকেটস E “E for Energy & Egg” বন্ধ্যাত্ব K “K for Koagulation (জমাট বাঁধা)” রক্তক্ষরণ ৭. নিচের কোনটি মাছের চাষ বুঝায়? ক. পিসিকালচার (Pisciculture) খ. সেরিকালচার (Sericulture) গ. এপিকালচার (Apiculture) ঘ. হটিকালচার (Hoticulture) উত্তর ক ব্যাখ্যা: মাছের চাষ (Pisciculture) সংজ্ঞা: মাছের বাণিজ্যিক চাষ ও উৎপাদন প্রক্রিয়াকে বলা হয় পিসিকালচার (Pisciculture)। এটি Aquaculture (জলচাষ)-এর একটি শাখা, যেখানে বিশেষভাবে মিঠাপানি ও লবণাক্ত পানির মাছ চাষ করা হয়। উদ্দেশ্য: খাদ্য হিসেবে প্রোটিনের যোগান বৃদ্ধি অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি পরিবেশবান্ধব প্রাণিজ উৎপাদন ব্যবস্থা তৈরি করা উদাহরণ: রুই, কাতলা, মৃগেল, তেলাপিয়া, পাঙ্গাস, কার্প মাছ ইত্যাদি চাষ করা হয়। অন্যান্য শব্দগুলোর মানে শব্দ অর্থ / ব্যাখ্যা উদাহরণ Sericulture (সেরিকালচার) রেশম উৎপাদনের জন্য রেশম কীট (Silkworm) পালন রেশম চাষ Apiculture (এপিকালচার) মৌমাছি পালন করে মধু, মোম ইত্যাদি উৎপাদন মৌচাষ Horticulture (হর্টিকালচার) ফল, ফুল, সবজি ও শোভাময় গাছপালা চাষ উদ্যানতত্ত্ব ৮. নিচের কোনটিকে কৃত্রিম আবাদ-মাধ্যমে (Artificial Media) জন্মানো যায় না? ক. মাইকোপ্লাজমা খ. অ্যাকটিনোমাইসিটিস গ. নীলাভ সবুজ শৈবাল ঘ. ভাইরাস উত্তরঃ ব্যাখ্যা: কেন ভাইরাসকে কৃত্রিম আবাদ-মাধ্যমে জন্মানো যায় না ভাইরাস (Virus) হলো এক প্রকার অকোষীয় জীব (Acellular organism) — যাদের নিজস্ব কোনো কোষগঠন, এনজাইম ব্যবস্থা বা স্বাধীন বিপাকক্রিয়া (metabolism) নেই। তাই ভাইরাস নিজেরা বংশবিস্তার বা বৃদ্ধি করতে পারে না। তাদের বৃদ্ধি বা সংখ্যা বাড়ানোর জন্য জীবন্ত কোষের সাহায্য লাগে, যেমন — ব্যাকটেরিয়া, প্রাণী কোষ, উদ্ভিদ কোষ, বা ডিম্বের ভ্রূণ কোষ। কেন কৃত্রিম আবাদ-মাধ্যমে ভাইরাস জন্মানো যায় না: ভাইরাস নিজে খাদ্য গ্রহণ ও শক্তি উৎপাদন করতে পারে না। কৃত্রিম মিডিয়া (যেমন Nutrient agar, broth) শুধুমাত্র জীবন্ত কোষযুক্ত জীবের জন্য উপযুক্ত। ভাইরাসের DNA বা RNA কেবল জীবন্ত কোষে প্রবেশ করলে সক্রিয় হয়। তাই ভাইরাসকে চাষ করতে হলে জীবন্ত কোষের অভ্যন্তরে রাখতে হয় (cell culture, tissue culture, chick embryo ইত্যাদি)। অন্য বিকল্পগুলো ব্যাখ্যা বিকল্প বৈজ্ঞানিক নাম / ধরন কৃত্রিম মাধ্যমে জন্মানো সম্ভব? মন্তব্য ক) মাইকোপ্লাজমা (Mycoplasma) ক্ষুদ্রতম কোষীয় জীব হ্যাঁ বিশেষ পুষ্টিসমৃদ্ধ মিডিয়ায় বৃদ্ধি পায় খ) অ্যাকটিনোমাইসিটিস (Actinomycetes) ব্যাকটেরিয়া সদৃশ জীব হ্যাঁ মাটি ও জৈব পদার্থে জন্মে, অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন করে গ) নীলাভ সবুজ শৈবাল (Blue-green algae / Cyanobacteria) আলোকসংবেদী প্রোক্যারিয়োট হ্যাঁ পানিতে বা মিডিয়ায় জন্মায় ঘ) ভাইরাস (Virus) অকোষীয় জীব না কেবল জীবন্ত কোষে জন্মায় ৯. ট্রানজিস্টর তৈরীতে কোন প্রকার পদার্থ ব্যবহৃত হয় ক. প্লাস্টিক (Plastic) খ. অর্থ পরিবাহী (Semiconductor) গ. পরিবাহী (Conductor) ঘ. কোনোটিই নয় উত্তর খ ট্রানজিস্টর হলো একটি অর্থপরিবাহী (Semiconductor) ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ, যা বিদ্যুতের প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ, বর্ধিত (Amplify) এবং সুইচ (Switch) করার কাজ করে। এটি রেডিও, কম্পিউটার, মোবাইল, টিভি, মাইক্রোপ্রসেসর ইত্যাদি সব আধুনিক ইলেকট্রনিক যন্ত্রের মূল ভিত্তি। ট্রানজিস্টরের আবিষ্কার আবিষ্কারক: জন বারডিন (John Bardeen), ওয়াল্টার ব্র্যাটেন (Walter Brattain) এবং উইলিয়াম শকলি (William Shockley) বছর: ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দ স্থান: Bell Laboratories, U.S.A এর জন্য তাঁরা ১৯৫৬ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান। ট্রানজিস্টরের উপাদান (Materials): ট্রানজিস্টর তৈরি হয় অর্থপরিবাহী পদার্থ দিয়ে। সবচেয়ে সাধারণ দুটি পদার্থ হলো— জার্মেনিয়াম (Ge) সিলিকন (Si) এগুলোর মধ্যে সিলিকন সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় কারণ এটি তাপ সহনশীল, স্থিতিশীল ও সস্তা। অর্থপরিবাহী (Semiconductor) কী? এটি এমন পদার্থ, যা পরিবাহী (Conductor) এবং অপরিবাহী (Insulator)-এর মাঝামাঝি বৈদ্যুতিক ধর্ম প্রদর্শন করে। যেমন: সিলিকন (Si), জার্মেনিয়াম (Ge), গ্যালিয়াম আর্সেনাইড (GaAs) বিশুদ্ধ অবস্থায় এরা খুব বেশি বিদ্যুৎ পরিবাহিতা দেখায় না, কিন্তু অমিশ্রণ (Doping) করলে তাদের পরিবাহিতা বাড়ে। ট্রানজিস্টরের গঠন (Structure): ট্রানজিস্টর দুটি প্রকারের হতে পারে প্রকার গঠন চিহ্নিত অংশ কাজ ১️. NPN ট্রানজিস্টর N–P–N স্তর Collector, Base, Emitter অধিকতর প্রচলিত, শক্তি বৃদ্ধি করে ২️. PNP ট্রানজিস্টর P–N–P স্তর Collector, Base, Emitter নির্দিষ্ট ধরণের সার্কিটে ব্যবহৃত হয় ট্রানজিস্টরের প্রধান কাজ: কাজের ধরন ব্যাখ্যা Amplifier (বর্ধক) ক্ষীণ সংকেত (signal) কে বড় করে তোলে। Switch (সুইচ) বিদ্যুৎ প্রবাহ চালু বা বন্ধ করে। Oscillator (কম্পন তৈরি) ধ্রুব কম্পন উৎপন্ন করে। Signal Modulator যোগাযোগ যন্ত্রে সংকেত প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। ট্রানজিস্টরের ব্যবহার: কম্পিউটার ও মাইক্রোপ্রসেসর মোবাইল ফোন টিভি, রেডিও, অ্যাম্প্লিফায়ার ক্যালকুলেটর ও ঘড়ি ডিজিটাল সার্কিট (Logic gates, ICs) ১০. নিচের তত্ত্বগুলো বিবেচনা করুন- i. আনো গ্র্যাভিটি (Gravity) দ্বারা প্রভাবিত হয় ii. মহাবিশ্ব (Universe) ক্রমাগত সম্প্রসারিত হচ্ছে ক. শুধু i খ. ii গ. শুধু ii ঘ. i ও ii কোনোটিই নয় উত্তর: ক ১১. নিচেরগুলো বিবেচনা করুন- i. ফিঙ্গার প্রিন্ট (Finger Pring) ii. রেটিনা স্ক্যানিং (Retina Scanning) iii. কন্ঠস্বর শনাক্তকরণ (Voice Recognition) ক. শুধু i খ. i ও iii গ. ii iii ঘ. i ii iii ১২. এন্ট্রপি কোন ভৌত ধর্মের পরিমাপ করে? ক. চাপ খ. অপ গ. শৃঙ্খল্য ঘ. বিশৃঙ্খলা উত্তর: ঘ ১️.সংজ্ঞা (Definition): এন্ট্রপি (S) হলো একটি তাপগতিশক্তির ভৌত পরিমাণ, যা কোনো সিস্টেমের অণু, পরমাণু বা কণার বিশৃঙ্খলতা বা অনিয়মের মাত্রা নির্দেশ করে। সহজভাবে বললে: যত বেশি একটি সিস্টেমে অণুর বা কণার অগোছালো অবস্থা, তার এন্ট্রপি তত বেশি। এর বিপরীতে, সুশৃঙ্খল বা নিয়মিত অবস্থার এন্ট্রপি কম। ২️.থার্মোডাইনামিক্সে ব্যাখ্যা: সিস্টেমে তাপ প্রবাহের সাথে এন্ট্রপি পরিবর্তন: মন্তব্য: এটি সিস্টেমের অণুর কৌণিক ও গতিশক্তির অগোছালো অবস্থা পরিমাপ করে। ৩️.এন্ট্রপির বৈশিষ্ট্য (Characteristics): বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা সদা বৃদ্ধি পায় বন্ধ সিস্টেমে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় (Second Law of Thermodynamics) এন্ট্রপি বৃদ্ধি পায় দিকনির্ধারক কোন প্রক্রিয়া স্বতঃস্ফূর্ত হবে তা এন্ট্রপি বৃদ্ধি নির্ধারণ করে স্টেট ফাংশন এটি কেবল সিস্টেমের শুরু ও শেষ অবস্থা নির্ভর করে, পথের উপর নয় ৪️.উদাহরণ রসায়নের দৃষ্টিতে: উদাহরণ এন্ট্রপির ব্যাখ্যা বরফ → পানি কঠিন থেকে তরল: অণুগুলো বেশি অগোছালো, এন্ট্রপি বৃদ্ধি পানি → বাষ্প তরল থেকে গ্যাস: অণুগুলো অনেক বেশি স্বাধীন, এন্ট্রপি সবচেয়ে বেশি দ্রাবক ও দ্রব্যের মিশ্রণ কণাগুলো সমানভাবে ছড়ায় → এন্ট্রপি বৃদ্ধি রাসায়নিক বিক্রিয়া (e.g., C(s) + O₂→ CO₂) কঠিন + গ্যাস → গ্যাসের সংখ্যা বেশি → এন্ট্রপি বৃদ্ধি ৫️.সংক্ষেপে মনে রাখার টিপস: এন্ট্রপি = বিশৃঙ্খলা / Disorder সিস্টেমের স্বতঃস্ফূর্ত পরিবর্তনের দিক নির্দেশক কঠিন → তরল → গ্যাস : এন্ট্রপি বৃদ্ধি ১৩. কোন গ্যাসটি গ্রিন হাউজ ইফেক্টের জন্য কম দায়ী? ক. CO₂ খ. CFC গ. N2O ঘ. CH উত্তর: গ ব্যাখ্যা: গ্রিনহাউস ইফেক্ট (Greenhouse Effect) কী? গ্রিনহাউস ইফেক্ট হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের কিছু গ্যাস সূর্যের বিকিরণ শোষণ করে তাপ ধরে রাখে। এর ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। এই তাপধারণকারী গ্যাসগুলোকে বলে গ্রিনহাউস গ্যাস (Greenhouse Gases)। প্রধান গ্রিনহাউস গ্যাসসমূহ ও তাদের অবদান: গ্যাসের নাম রাসায়নিক সংকেত আনুমানিক অবদান উৎস কার্বন ডাইঅক্সাইড CO₂ ~60% জ্বালানি দহন, বন নিধন মিথেন CH₄ ~20% গবাদি পশুর পাচন, জলাভূমি ক্লোরোফ্লোরোকার্বন CFC ~10% ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনার নাইট্রাস অক্সাইড N₂O ~6% সার ব্যবহার, জৈব পদার্থ পচন নাইট্রোজেন (N₂) — অংশগ্রহণ করে না বায়ুমণ্ডলের ৭৮% কিন্তু নিষ্ক্রিয় গ্যাস মূল কারণ: · N₂ (নাইট্রোজেন গ্যাস) তাপ শোষণ বা বিকিরণ করার ক্ষমতা নেই, অর্থাৎ এটি ইনফ্রারেড বিকিরণ শোষণ করে না। · তাই এটি গ্রিনহাউস গ্যাস নয় এবং গ্রিনহাউস ইফেক্টের জন্য দায়ী নয়। ১৪. জাল টাকার নোট শনাক্তকরণের জন্য ব্যবহৃত হয় কোন রশ্মি? ক. IR-Ray খ. X-Ray গ.y-Ray ঘ. UV-Ray উত্তর: ঘ বিভিন্ন রশ্মি ও তাদের ব্যবহার ক্র. রশ্মির নাম পূর্ণ নাম তরঙ্গদৈর্ঘ্য (প্রায়) প্রধান ব্যবহার অতিরিক্ত তথ্য ক) IR-Ray (Infrared Ray) ইনফ্রারেড রশ্মি 700 nm – 1 mm তাপ শনাক্তকরণ, নাইট ভিশন ক্যামেরা, চিকিৎসা (Heat therapy), রিমোট কন্ট্রোল এটি তাপ বিকিরণ হিসেবে অনুভূত হয় খ) X-Ray (এক্স-রে) X-Radiation 0.01 – 10 nm চিকিৎসায় হাড় পরীক্ষা (X-ray imaging), শিল্পে ধাতব ত্রুটি শনাক্ত, নিরাপত্তা স্ক্যানার উইলহেম রন্টজেন ১৮৯৫ সালে আবিষ্কার করেন গ) γ-Ray (Gamma Ray) গামা রশ্মি < 0.01 nm ক্যান্সার চিকিৎসা (Radiotherapy), জীবাণুনাশ, শিল্প পরিদর্শন, মহাজাগতিক গবেষণা এটি সবচেয়ে শক্তিশালী তড়িৎচুম্বকীয় রশ্মি ঘ) UV-Ray (Ultraviolet Ray) অতিবেগুনি রশ্মি 10 – 400 nm জীবাণুনাশ (Sterilization), ভিটামিন D উৎপাদন, ফ্লুরোসেন্ট লাইট, ব্যাংক নোট যাচাই সূর্যালোকে উপস্থিত, অতিরিক্ত হলে ত্বকের ক্ষতি করে সংক্ষেপে মনে রাখোঃ IR-Ray → তাপ শনাক্তকরণ X-Ray → চিকিৎসায় হাড় পরীক্ষা γ-Ray→ ক্যান্সার চিকিৎসা / জীবাণুনাশ UV-Ray → জীবাণুনাশ / ভিটামিন D উৎপাদন ১৫. নিচের কোন মৌলটি খাদ্য শৃঙ্খলের জন্য অনিরাপদ নয়? ক. Ar খ. Cr গ. Pb ঘ. Fe উত্তর: ঘ ১️.অনিরাপদ মৌল (Unsafe / Toxic Elements): এসব মৌল জীবদেহে প্রবেশ করলে Bioaccumulation ও Biomagnification-এর মাধ্যমে জমা হয়ে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে। মৌল পূর্ণ নাম ক্ষতিকর প্রভাব Pb (Lead) সীসা স্নায়ুতন্ত্রে ক্ষতি, রক্তস্বল্পতা Hg (Mercury) পারদ মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রে ক্ষতিকর, Minamata রোগ Cd (Cadmium) ক্যাডমিয়াম কিডনি বিকল, হাড় দুর্বলতা Cr (Chromium) ক্রোমিয়াম কিছু যৌগ ক্যান্সার সৃষ্টিকারী As (Arsenic) আর্সেনিক ত্বক ও লিভারের রোগ, ক্যান্সার Ni (Nickel) নিকেল অ্যালার্জি, ত্বক ক্ষতি Sn (Tin) টিন লিভার ও কিডনির ক্ষতি এরা সবাই খাদ্য শৃঙ্খলে অনিরাপদ, কারণ এক জীব থেকে অন্য জীবের মধ্যে স্থানান্তর হয়ে ধীরে ধীরে বিষক্রিয়া বাড়ায়। ২️. নিরাপদ মৌল (Safe / Essential Elements): এসব মৌল অল্প পরিমাণে জীবদেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি, বিপাকক্রিয়া ও রক্ত তৈরিতে প্রয়োজনীয়। মৌল পূর্ণ নাম কাজ / গুরুত্ব Fe (Iron) লোহা হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সহায়তা করে Ca (Calcium) ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁতের গঠন K (Potassium) পটাশিয়াম স্নায়ুতন্ত্রের কাজ নিয়ন্ত্রণ Na (Sodium) সোডিয়াম রক্তচাপ ও স্নায়ুর সংকেত Mg (Magnesium) ম্যাগনেশিয়াম ক্লোরোফিল ও এনজাইম কার্যক্রমে সাহায্য করে Zn (Zinc) দস্তা হরমোন ও এনজাইম নিয়ন্ত্রণ Cu (Copper) তামা রক্তে লোহা পরিবহন ও এনজাইম কার্যক্রমে অংশগ্রহণ সংক্ষেপে মনে রাখোঃ অনিরাপদ মৌল: Pb, Hg, Cd, Cr, As নিরাপদ মৌল: Fe, Ca, K, Na, Mg, Zn, Cu
